তালেবানের জন্মকাহিনী

 


একটি মার্কিন জাল—

২০০১ সাল।

যুগের হোবাল আমেরিকা আকাশ থেকে নেমে এলো বোমা আর আগুন নিয়ে। তাদের মুখের জপ ছিলো— “তালেবান নারীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা নারীকে মুক্ত করতে এসেছি।” কিন্তু সেই ‘মুক্তি’ ছিল— পোশাক খুলে নেওয়া, বিবেক দূরে ঠেলে দেওয়া, আর সম্মানকে নামিয়ে দেওয়া ক্যানভাসে—যেখানে নারী কেবল ‘প্রডাক্ট’।

  তারা আফগান নারীদের পড়িয়ে দিল পশ্চিমা পোশাক, তাদের হাতে তুলে দিল মেকআপের কিট, কিন্তু কেড়ে নিল— তাদের নিরাপত্তা, তাদের মা হওয়ার স্বাধীনতা, তাদের হায়া লজ্জা।


তালি*বা*নের উত্থান: 


আফগানিস্তান। সময়—১৯৯৪ সাল। সোভিয়েত সেনারা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু রেখে গেছে একটি ছিন্নভিন্ন দেশ। চারপাশে যুদ্ধবাজ নেতা, বখাটে মিলিশিয়া, লুটপাট, অপমান। আর সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল নারীর অবস্থা।

   

কান্দাহারের এক স্কুল শিক্ষিকা, বোরকায় মুখ ঢেকে একদিন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন, ছাত্রীদের পড়াতে যাবেন বলে। কিন্তু পথ আগলে দাঁড়ায় সশস্ত্র মিলিশিয়ারা। তারা তাকে অপহরণ করে, লাঞ্ছনা করে, অপমান করে একজন মুসলিম নারীর সবচেয়ে পবিত্র আমানত—তার ইজ্জত। সে নারী কাঁদে না—সে আল্লাহর দরবারে বিচার চায়।

  এই খবর পৌঁছে যায় একজন প্রাক্তন মাদরাসা ছাত্রের কাছে। নাম—মোল্লা মোহাম্মদ ওমর (রহিমাহুল্লাহু তাআলা)। তিনি আর স্থির থাকতে পারেন না। হাত গুটিয়ে বসে থাকা তাঁর স্বভাব নয়। তিনি হাতে তুলে নেন ব*ন্দুক, পাশে নেন তিরিশজন ছাত্র, কাঁধে তোলে কালেমার পতাকা।

তাঁর ঘোষণা ছিল স্পষ্ট: "যেখানে মুসলিম নারীর পর্দা ছিঁড়ে ফেলা হয়, সেখানে আর বসে থাকা যায় না।"

তালি*বান—অর্থাৎ ছাত্রদের এই দল শুধু এক অপহরণকারীকেই শাস্তি দেয়নি, শুরু করেছিল গোটা আফগানিস্তানকে দানবের থাবা থেকে মুক্ত করার এক বিপ্লব। মাত্র দুই বছরের মাথায় তারা পুরো কান্দাহার দখল করে। পরের দুই বছরে তারা কাবুল, হেরাত, মাজার—একটির পর একটি শহর দখল করে গঠন করে ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান।


নারীবাদীদের জন্য জবাব:

 পশ্চিমা মিডিয়া যখন তালি*বা*নকে 'নারী বিদ্বেষী' বলে গালি দেয়, তখন আমাদের প্রশ্ন—তোমরা কি জানো, তাদের অস্তিত্বের পেছনে ছিলো এক নারীর সম্মানহানির প্রতিশোধ?

 যে সভ্যতা নারীর পোশাককে স্বাধীনতা বলে, অথচ তার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ—তোমরা সেই সভ্যতার নারীবাদী!

আমরা তালিবানকে ঈশি দূত বলি না, কিন্তু ইতিহাস বলে—তাদের অস্তিত্বের বীজ রোপণ হয়েছিল নারীর ইজ্জতের রক্তে।

জেনে রাখো ইসলাম কখনো নারীর শত্রু ছিল না, বরং নারীই ছিল ইসলামের অভিজ্ঞান। তোমার চোখের অশ্রু নিয়ে শুরু হয়েছিল মুজাহিদদের কাহিনি। তোমার পর্দার ছায়ায় লিখিত হয়েছে ফিকহ ও হাদীসের ইতিহাস। আর তোমার হায়ার জন্যই দাঁড়িয়েছিল তা*লে*বান নামের এক নবজাগরণ।

  তুমি যদি আজও বলো—“ইসলাম আমার অধিকার দেয় না,”

তবে ইতিহাস থেমে কাঁদে। আর আকাশ থেকে নামে অভিশাপ—“তোমরা কি ইতিহাস ভুলে গেছ?”


Post a Comment

Previous Post Next Post