"ইজ্জতের জন্য ওঠা এক ঝড়: বানু কাইনুকার ঘটনা
মদিনার আকাশে সূর্য তখন মধ্যগগনে। বানু কাইনুকা’র বাজারে প্রতিদিনের মতোই ছিলো কোলাহল, কেনাবেচার আওয়াজে মুখরিত। হিজাব পরা এক মুসলিম নারী, লাজে-শরমে গুটিয়ে থাকা তাঁর চাহনি, দোকানে পা রাখেন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে।
কিন্তু হায়! সেদিনকার বাজার যেন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির নিচে বসে থাকা এক জমাট আগুন ছিলো। এক ইহুদি ব্যবসায়ী, যার চোখে ছিল দম্ভের আগুন, কপটে হাসি আর অন্তরে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণার কালো স্রোত, সে হঠাৎই সেই নারীর পেছনে এসে কাপুরুষের মতো তার পর্দা খুলে দেয়। পর্দা খোলার সাথে সাথেই জেগে ওঠে নারীটির আত্মসম্মান। তিনি চিৎকার করেন—এ এক কান্না নয়, এ ছিল ইজ্জতের আহ্বান, এ ছিল ঘোমটার প্রতিশোধের ঘোষণা!
চিৎকার শুনে এক সাহসী মুসলিম তরুণ এগিয়ে আসেন। রক্ত তার টগবগ করে ফুটছে, চোখে আগুন, হাতে তলোয়ার না থাকলেও বুক ভরা ঈমানই তার অস্ত্র। তিনি সেই ইহুদিকে শাস্তি দেন—তাৎক্ষণিক, দৃপ্ত, নির্ভীক। কিন্তু ইহুদি গোত্রের লোকেরা চুপ করে থাকেনি। তারাও সেই মুসলিমকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়।
এই একটি ঘটনার রেশেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনার আগুন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই ইহুদি গোত্রকে আহ্বান করেন ইসলামের পথে। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিজ্ঞা ও ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে যায়। পরিণতিতে, তাঁদের মদীনার সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নারীবাদীদের প্রতি প্রশ্ন:
তোমরা যারা নারীর অধিকার বলে চিৎকার করো, বলো তো—এই মুসলিম নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনের প্রতিশোধে যখন এক উম্মাহ জেগে ওঠে, তখন সেটাকে কী নামে ডাকবে? বর্বরতা? নাকি বীরত্ব?
তোমরা পর্দাকে বলো শৃঙ্খল। অথচ এই পর্দাই তো ছিল তাঁর আত্মমর্যাদার প্রতীক, যে ছিন্ন হতেই একজন সাহাবি তার প্রাণ বিসর্জন দেন। এক মুসলিম নারীর চোখের অশ্রু মুছাতে যে তরবারি ঝলসে ওঠে, সে তরবারিকে তুমি কীভাবে মূল্যায়ন করবে?
ইসলাম নারীর ইজ্জতের জন্য যুদ্ধ করে, ইতিহাস তার সাক্ষী। আর তোমরা—পশ্চিমের দেওয়া ছাঁচে নারীত্ব মাপা নারীবাদীরা—তোমাদের চোখে কি এই আত্মদানের গল্প কোনো স্থান পায়?